ঝিনাইদহে এক তরুণকে বিয়ে করতে অনশন করেছেন দুই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামে। আলোচিত ওই তরুণের নাম শাহিন। তিনি ওই গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে।
শনিবার বিকেলে একই জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান নেন। এ খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আরেক তরুণীও বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে আসেন। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী জানান, ঘোড়াগাছা গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়েতে তাদের দুই পরিবার রাজিও ছিল। কিন্তু এক সময় মেয়ের পরিবার জানতে পারে শাহিন ধর্ষণ মামলার আসামি। তাই মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। পরিবার থেকে মেয়েকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহিনের বাড়িতে ওঠেন।
এদিকে মাস দুয়েক হলো বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আরেক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণের। শাহিনের বিয়ের কথা শোনার পর তিনিও বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে আসেন। এনিয়ে শাহিন ও তার পরিবারের ওপর এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
ঘোড়াগাছার তরুণী বলেন, ‘শাহিনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। তবে শহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করেও তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তরুণী বলেন, ‘শাহিনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।’
শাহিন বলেন, ‘আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি দুজনকেই আমি বিয়ে করতে রাজি।’