সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বেশি অন্য দিকে শ্রমিক সংকট। পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে আসান প্রামাণিক নামের এক বৃদ্ধ কৃষক। অসহায় এ কৃষকের বিষয়টি শোনার পর স্বেচ্ছায় পাকা ধান কেটে দিয়েছেন স্থানীয় আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা।উ
পজেলার রসুলপুর পশ্চিমপাড়া ফসলী মাঠে সহকারী ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার সবুজ মিয়ার নেতৃত্বে ১২-১৫ জন আনসার ভিডিপির সদস্যদের নিয়ে কৃষক আসান প্রামাণিকের ধান কেটে দেয়।
কৃষক আসান প্রামাণিক উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি, উপজেলাতে কোন শ্রমিক সংকট নেই। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনটি হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা হচ্ছে।
রায়দৌলপুর ইউনিয়নের সহকারী ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার সবুজ মিয়া বলেন, বর্তমানে একজন শ্রমিকের মূল্য ৫০০ টাকা ও এক বেলা খাওয়া। এরপরও ধান কাটার জন্য ঠিক মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আসান প্রামাণিক একজন অসহায় কৃষক সে অন্যের জমি নিয়ে চাষাবাদ করেন। শ্রমিকের যে মজুরি তাতে আসান প্রামাণিকের জন্য কষ্টকর এজন্য আমার নেতৃত্বে আনসার ভিডিপির সদস্যদের দিয়ে তার পাকা ধান কেটে দিয়েছে এরপর মাড়াই করে দিবো।
কৃষক আসান প্রামাণিক (৭০) বলেন, ৬০ শতাংশ জমির ধান পেকে গেছে। আমি কামলা পাইনি। আনসার কমান্ডার সবুজ মিয়াকে বলার পর তারা আমার ধান বিনামূল্যে কেটে দিয়েছে । আমি অত্যান্ত খুশি।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির উপজেলা প্রশিক্ষক মো.নবিরুল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের।
কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ বলেন, উপজেলাতে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। তিনটি হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা হচ্ছে। শ্রমিক সংকট নেই।
আনসার সদস্যরা স্বেচ্ছায় কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার বিষয়টি প্রশংসনীয়।