• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

এক রাতে ১৫ মিটার চুরি করে বিকাশ নাম্বার রেখে গেলো চোর

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি / ৭৯ বার দেখা হয়েছে
সর্বশেষ : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক রাতে সেচ ও শিল্প শ্রেণির ১৫টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করার পর মিটার বক্সে একটি বিকাশ নম্বর রেখে যায় চোর চক্র। শনিবার রাতে উপজেলার হায়দারপুর, কাজীপুর ও ঠাঁকুরঝিপাড়া গ্রামে মিটার চুরির  ঘটনা ঘটে। একই  রাতেই হায়দারপুর গ্রামে ২টি শিল্প ৩টি সেচ, কাজীপুর গ্রামে ১টি শিল্প ও ২টি সেচ এবং ঠাঁকুরঝিপাড়া গ্রামে ৪টি শিল্প ও ৩টি সেচ সংযোগের মিটার চুরি হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, রবিবার সকালে উঠে বাড়ীর আবাসিক মিটারে সংযোগ থাকলেও সেচ ও শিল্প সংযোগে বিদ্যুৎ না পেয়ে মিটার বক্সের কাছে গিয়ে দেখেন মিটার নেই, কিন্তু বক্সে রয়েছে একটি টোকেন। সেই টোকেনে রয়েছে একটি নম্বর। পরে সেই নম্বরে কল করা হলে সেটি বিকাশ নম্বর বলে জানায় চোর চক্রের সদস্যরা। সেই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালেই চুরি যাওয়া মিটারের খোঁজ মিলবে বলে জানায় তারা।

হায়দারপুর গ্রামের চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটারের মালিক জামাল সরকার বলেন, রবিবার সকালে আমার ভাই সেচ ঘরে গিয়ে দেখে ঘরের সাথে লাগানো মিটারটি নেই। মিটারের বক্সের ভিতরে একটি টোকেনের সাথে মুঠোফোন নম্বর লেখা আছে। পরে আরও কয়েকটি সেচ ঘরে খোঁজ নিলে দেখা যায় তাদের মিটার নেই। তিনি আরও জানান, রেখে যাওয়া নম্বরে ফোন দিলে চোর চক্রের একজন বলেন, প্রতিটি মিটার প্রতি আমাদের ৩/৪ হাজার টাকা করে মিটার কোথায় রাখা আছে বলে দিবো। আমরা মিটার প্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে স্বীকার হলে তিনি বলেন, মিটার চুরি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে, টাকা বেশি দিতে হবে। পরে আমরা থানায় ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর কামারখন্দ সাব জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মোক্তার হোসেন জানান, ১১টি মিটার চুরির খবর পেয়েছি। গ্রাহকেরা মামলা করবে আর যদি গ্রাহকেরা মামলা না করে তাহলে মামলা করবো। চুরির এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের কেউ জড়িত  নেই বলেও জানান তিনি।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, মিটার চুরির ঘটনায় কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত চোর চক্র শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মিটার উদ্ধার করতে পারবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর...