চুঁচূড়ার প্রিয়নগররের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করি। প্রিয়নগরের সামনে টোটো থেকে নামতেই চোখে পড়ে দৃশ্যটি। ওটা কি জানার কৌতূহল জাগে। তাই দেখতে গেলাম।ওটা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোক রাখা আছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলি এবং ওখানেই তথ্য অনুযায়ী জানতে পারলাম।
সুসান্না আন্না মারিয়া নেদারল্যান্ড নিবাসী হলেও, পরবর্তীকালে ১৭৫৯ সালে এক ওলন্দাজ ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে চলে আসেন চুঁচুড়ায়। ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে পিটার ব্রুইসের মৃত্যু হয়। আর সেসময় থেকে ডাচ নগরী চলে যায় ব্রিটিশ সরকারের হাতে। এরপর ১৭৯৫ সালে সুসান্না আন্না মারিয়া দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ীকে। চুঁচুড়া ও চন্দননগরের মাঝে ষাট বিঘা জমির ওপর সুসান্না আন্না মারিয়ার উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত এক বিশাল বাগান বাড়ি ছিল। তাঁর ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর তাঁকে যেন এই বাড়িতেই সমাধিস্থ করা হয়। তাই তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে রাজকীয়ভাবে সমাধি দেওয়া হয়েছে।
দু’শো বছরের বেশী প্রাচীন এই সমাধিস্থলের স্থাপত্যে রয়েছে, গ্ৰিক স্থাপত্যের সাথে ইন্দো-ডাচ স্থাপত্যের অপূর্ব মেলবন্ধন, যা ফরাসি ও ভেনিসের ব্যারক রীতির আদলে গড়ে উঠেছে খানিকটা। এর গোলাকার গম্বুজটির ওপরে একটি ব্রোঞ্চের ঘণ্টা আগে ছাদ থেকে ঝোলানো হত। বর্তমানে সৌধটি আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্বাবধানে রয়েছে।