গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় খেলাধুলার পাতায় ‘এবার বিকেএসপির মহাপরিচালকের অপসারণ দাবি’ প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিকেএসপির মহাপরিচালকের শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমরা বাংলাদেশ তাইকোয়ান্দো ইউনিয়নের খুলনা অঞ্চলের সকল প্রশিক্ষক খেলোয়াড় ও ছাত্র-ছাত্রীগণ উল্লিখিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ তাইকোয়ান্দো ইউনিয়ন একটি অরাজনৈতিক সেবা ধর্মী এবং বেসরকারি ক্রীড়া সংগঠন। বিকেএসপি একটি সরকারি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিকেএসপির সাথে বাংলাদেশ তাইকোয়ান্দো ইউনিয়নের কোন সম্পর্ক নেই। বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলামের বাংলাদেশ তাইকোয়ান্দো ইউনিয়নের খেলোয়াড়দের নিয়ে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তি মূলক।
প্রকাশিত সংবাদে তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় রুফাইদা আনসারী বগুড়ার শাখার ও মারিন আশরাফি বাংলাদেশ তাইকোয়ান্দো ইউনিয়নের রাজশাহীর কৃতি খেলোয়াড়, এছাড়া রুফাইদা আনসারী মুমিত হাসান ব্রাইটের স্ত্রী নন । মুমিত হাসান ব্রাইট স্বৈরাচারী আওমলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। পত্রিকাকে উল্লেখিত ৫ ই আগস্টে মুমিত হাসান ব্রাইটের অফিস ভাংচুর হয়েছে বলা হয়েছে, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি, বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
জানামতে, ভিয়েতনামে এর আন্তর্জাতিক পুলিশ তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে দুটি ভিন্ন দল অংশগ্রহণ করতে গেছে। একই দেশে একই ভেন্যুতে বাংলাদেশের দুটি দলের খেলোয়াড়গণ, টিম ম্যানেজার, কোচ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ একই দিনে একই বিমানে যেতে পারে।
৫ ই আগস্টের পূর্বে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ কর্তৃক গঠিত ও লালিত ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ এখনো স্বপদে বহাল থেকে আওয়ামী লীগ কায়দায় তাদের শাসন ও শোষণ বজায় রেখে বহাল তবিয়তে কার্য্য সিদ্ধি করে চলেছেন। এহেন দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীরা এখনো তৎপর। আওয়ামী কুচক্রী মহল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা গঠিত ফেডারেশন ও ভুয়া এবং তথাকথিত খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির দুর্নীতিবাজ সদস্যগণ তাদের স্বপদে বহাল থাকতেই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে সংবাদ পরিবেশনে লিপ্ত।
সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফেডারেশনের এবং ভুয়া তাইকোয়ান্দো খেলোয়াড় কল্যান সমিতির সকল দুর্নীতিবাজ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার এবং আশু গ্রেপ্তার সহ শাস্তি দাবী করছি।