যশোরের কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান সমর্থিত ও বিএনপি সমর্থিত দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষের ভেতর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে পারছিলেন না। বুধবার বিকেলে তিনি তার সমর্থিত লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসলে কিছু ব্যক্তি তাদের বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আহত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল্লাহ গাজী (২৫), ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২০), রিয়াজুর রহমান (২৪), আড়ুয়া গ্রামের বিএনপি নেতা আফসার মোড়ল (৫০), সারুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (২৪), নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫), জালাল দফাদার, রোজিনা বেগম (৪০), কায়েমখোলা গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫) ও বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখকে (৫০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত অজ্ঞাতরা অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কে বা কারা কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করাসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জি এম মহি উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে আহত করে। এ সময় তার কলাগাছি বাজারের ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।
সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার সমর্থকেরা জানিয়েছে, তাদের উপর প্রতিপক্ষরা আগে হামলা করে। হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে ওই দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু কাঁচের বোতলের টুকরা পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।