বাঘারপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় নানা সংগঠন। নির্মাণের সাত বছর পর উপজেলা এই প্রথম মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে । কি কারনে কোন জটিলতা শ্রদ্ধা নিবেদন আটকে ছিলো তা কেউ জানেনা। দীর্ঘদিন ব্যাবহার না হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্মৃতিসৌধের নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
দীর্ঘদিন পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা প্রসঙ্গে চাইলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শোভন সরকার বলেন, যেহেতু স্বাধীনতা চত্বর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে এবার শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আমার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
এ বিষয়ে জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী বলেন, আমরা বীরমুক্তিযোদ্ধা, আমাদের স্বাধীনতা চত্বরে ভেঙ্গে দিয়ে আমাদের জাতি স্বত্তায় আঘাত করেছে। আমরা অনতিবিলম্ব স্বাধীনতা চত্বর পুনরায় দেখতে চাই। নতুন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে বলেন আমাদের স্বাধীনতা চত্বর না থাকার কারনে আজ বুদ্ধিজীবি দিবসে নতুন সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ১৪ই ডিসেম্বর উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। এবারই প্রথম নির্মানের পর এই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একস্থানীয় বাসিন্দা বলেন, কমপ্লেক্সেটি এক কর্নারে করা হয়েছে। এখানে কোনো সুনজর বা নজরদারি নেই। এটি এখন ভুতুড়ে গলিতে পরিণত হয়েছে। সবসময় অপরিষ্কার থাকে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং নাজুক ।
উল্লেখ্য বাঘারপাড়া উপজেলা চিত্রা নদীর পাড়ে নির্মিত স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে এতদিন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কিন্তু ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ফলে পাঁচ আগষ্টে দূর্বৃত্তরা স্বাধীনতা চত্বর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। নির্মাণের সাত বছর পার হলেও চালু করা সম্ভব হয়নি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধটি। বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে । এছাড়াও স্মৃতিসৌধের ভেতরে থাকা বেসিন, দোলনা ও শৌচাগারের ভঙ্গুর দশা। ব্যবহার না করার কারণে অনেক জিনিসপত্র এখন ধ্বংসের পথে।
এলজিইডির আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাঘারপাড়া উপজেলা ক্যাম্পাসের ভিতরে এক কর্নারে ২৮ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকায় নির্মান করা হয় স্মৃতিসৌধটি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, সৌধটি নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা সঠিক হয়নি।