টুঙ্গীতে সাদপন্থীদের হামলায় আহত ও নিহতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল ইসলামের অফিস কক্ষে তারা স্মারক লিপি প্রদান করেন। উলামা মাশায়েক ও তৌহিদী জনতার প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা আবু সাঈদের নেতৃত্বে মাওলানা আব্দুস সবুর মুফতি মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আব্দুল হান্নান এছাড়া কামারখন্দ স্থানীয় উলামা ঐক্য পরিষদের মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কামারখন্দ ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার মুসল্লিরা উপজেলার ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার পর উপজেলা শহীদ মিনারে এসে তারা বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে কামারখন্দ ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার বক্তারা বলেন, সাদপন্থীরা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এদেশের মুসলমানদের হেয় করার চেষ্টা করছে। দাঁড়ি টুপি থাকলেই সে মুসলিম হতে পারে না। আলেমদের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। যারা মুসলিমকে হত্যা করে। তারা আলেম হতে পারে না। সাদপন্থীরা ইসলাম ধ্বংস করার জন্য এসেছে। ভারতে যখন মুসলিমদের উপর হামলা নির্যাতন হয় তখন সাদপন্থীরা কোথায় থাকে? বক্তারা দাবি করেন, আওয়ামীলীগ কখন ইস্কন, কখন সাদপন্থী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। সাদপন্থীরা ইন্ডিয়ার দালাল, আওয়ামীলীগের দালাল।
এদিকে স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, টঙ্গির ইজতেমা ময়দানের গেট ভেঙ্গে ঘুমন্ত মুসল্লিদের উপর দেশীয় অস্ত্র ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত সৈয়দ ওয়াসিফ, উসামা, মুয়াজ বিন নুর, জিয়া বিন কাসিম, মনিরসহ, জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি জানায় তারা। কামারখন্দে যারা সাদপন্থী সমর্থক রয়েছে তাদেরকে বক্তারা অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং দেশের সকল মসজিদ ও কামারখন্দ উপজেলার সব মসজিদে যাতে সাদপন্থীরা কোন ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে সেটার দাবিও তারা করেন।