যশোরে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে শহীদী মার্চ কর্মসূচি। গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো যশোরেও ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা নেতৃবৃন্দ। সকাল দশটায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে চিত্রার মোড়, দড়াটানা হয়ে গরীব শাহ মাজার রোড দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়।
শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও সারা দেশের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে ছাত্রনেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের প্রিয় ভাই ও বোনদের রক্তে কেনা নতুন বাংলাদেশে দূর্নীতি, বৈষম্য, অবিচার মানা হবে না। কেউ স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করলে তাদের শুধরাতে হবে। ছাত্র সমাজ এখনও মাঠ ছাড়েনি। আমরা শহীদ ভাইদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শপথ করছি তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না৷ খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রনেতা জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি বলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী শহীদের স্মরণে আমরা যেমন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী পালন করি ঠিক অনুরূপ ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মুক্তিকামী শহীদদের স্মরণে আজকে আমাদের এই “শহীদি মার্চ” কর্মসূচী । ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার হত্যার বিচার চেয়ে আমরা রাজপথে আছি।
ছাত্র নেতা রিফাত আহম্মেদ বাবু বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্তিকামী ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে স্বৈচ্ছাচারী সরকারের পতন ঘটে। দেশের পরিস্থিতির অবনতির জন্য খুনি সরকারের সকল নেতাকর্মী দায়ী। ছাত্রদের খুনের বিচারের জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন বিজয় অর্জনে আজকের এই দিনে সকল সহযোদ্ধা ছাত্র জনতা ও আপামর জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ছাত্রনেতা নুর ইসলাম, সাকিব হোসেন ও জুনাইদ বিন জামান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা রাকিব এইচ সজীব, সায়েদ খান,সা কিব হোসেন, রুহী, ঋতি, সামির, সামাদ, সজীব,শাওন, হামিম প্রমুখ।