বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের আট মাসে এ নিয়ে চার শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছেন। এ নিয়ে অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মাঝেই বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাড়িতে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রী মারা যান। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অর্পণা দাস নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সোনামুখী গ্রামের শ্যামল দাসের মেয়ে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা এসআই মাজেদুল পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মেহেন্দীগঞ্জের গ্রামের নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক তাঁকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফোন করে বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছেন। পরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।