প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত গণভবনকে জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় ঘটনা ধরে রাখতে জাদুঘর করতে চায় সরকার। তারই ধারাবাহিকতা আজ গণভবন পরিদর্শণ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম, শিল্প, গণপূর্ত ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরিদর্শন শেষে তাঁরা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, জাদুঘরে রূপান্তরের পর গণভবনে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের নানা ঘটনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরের নিপীড়নের চিত্রও থাকবে। এখানে প্রথমত ৩৪ দিনের পুরো সময়ের স্মৃতির দিনলিপি থাকবে। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের তালিকা থাকবে, স্মৃতি থাকবে। এই আন্দোলন ছাড়াও গত ১৬ বছরের লড়াইয়ের একটি মুহূর্ত আমরা ৫ আগস্ট পেয়েছিলাম। এই ১৬ বছরে যে নিপীড়ন হয়েছে, যারা গুম হয়েছেন, তাদের তালিকা থাকবে। যারা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন, এসব বিষয়ের একটি উপস্থাপনা থাকবে। এমনকি এখানে যে স্থাপনা এখন ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, সেটিকে সেই অবস্থায় রেখে এখানে জাদুঘর করা হবে।
গণভবন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে, তা নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টারা আলোচনা করেছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিষটি পরে আলোচনা হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এখন যেখানে আছেন, সেখানেই থাকবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? জানতে চাইলে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য উদ্যোগ নিচ্ছি এবং বার বার আমরা এই ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করার জন্য বলছি। আমরা প্রথম দিন থেকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বার বার বলেছি, আমাদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছিল ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষ থেকে, সেই ধরনের আচরণ যেন কারো প্রতি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করছি।