দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনার শুরু দিন আজ, শুভ মহালয়া । সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর আগে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু।
মহালয়ার সাত দিন পর আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলা বা পালকিতে চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন গজ বা হাতিতে চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের পৌর পার্কে সনাতন ধর্ম সংঘের আয়োজনে মহালয়া উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন ও উলুধ্বনির মাধ্যমে মহালয়ার সূচনা হয়। এরপর মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হবে। ত্রিভঙ্গ চরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়া চণ্ডী অর্চনা করবে ভক্তরা।
এ ছাড়া যশোর কালেক্টরেট পুকুরপাড়, বেজপাড়াতেও আয়োজনে মহালয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যশোরে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর শিল্পীরা। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৬৫২টি মন্দির ও মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। গত বছর জেলায় ৭৩২টি মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে ৮০টি। জলাবদ্ধতা, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিরাপত্তার অভাব ও আর্থিক সংকটের কারণে পূজামণ্ডপ কমেছে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।