নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অঙ্গীকারে যশোরে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণিল আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। কালেক্টরেট চত্বর থেকে র্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কালেক্টরেট চত্বরে এসে র্যালি শেষ হয়।
এরপর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয় দিবসের আলোচনা সভা। ‘জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন; আনবে দেশে সুশাসন’ প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর জন্মগ্রহণ পরিবারে যেমন আনন্দের জন্ম দেয়। ঠিক তেমনি শিশুটির জন্য একটি উপহার হতে পারে জন্ম নিবন্ধন। অনুরূপভাবে কেউ মারা গেলে তারও সাথে সাথে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। আইনে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিধান থাকলেও সবাই আন্তরিক হলে নিবন্ধন সাথে সাথে করা সম্ভব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, রামনগর ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে সরকারি বেরসরকারি দপ্তরের প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত বিগত এক বছরে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরীতি পুরস্কার প্রদান করা হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে শ্রেষ্ঠ উপজেলা বাঘারপাড়া এবং শ্রেষ্ঠ পৌরসভা হিসেবে চৌগাছা স্বীকৃতি লাভ করে। ইউনিয়ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকতা বাঘারপাড়ার জামদিয়ার আব্দুস সালাম, বন্দবিলার ওবায়দুর রহমান এবং চৌগাছার পাতিবিলার আজমীনয়ারা সম্মাননা স্মারক লাভ করেন। গ্রাম পুলিশ ক্যাটাগরীতে বাঘারপাড়ার জামদিয়ার দিলীপ কুমার দাস , বন্দবিলার রচনা বিশ্বাস এবং চৌগাছার পাতিবিলার সোলায়মান হোসেন পুরস্কার লাভ করেন। নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম।