• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রভাবশালীর বিল্ডিংয়ে বন্ধ ব্রিজের মুখ;ভোগান্তিতে দুই শতাধিক পরিবার

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি / ১২২ বার দেখা হয়েছে
সর্বশেষ : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের জামতৈল বাজারের প্রধান সড়ক সংযোগ সেতুর পাশেই গড়ে উঠেছে প্রভাবশালীরদের বিল্ডিং ও অতিরিক্ত ময়লা আবর্জনায় সংযোগ সড়ক সেতুর মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতায় পড়েছে প্রায় দুইশত পরিবার। তাদের বাড়ির উঠানে উঠেছে পানি। এছাড়া ব্রিজটি পাশের রাস্তায়টি তলিয়ে গেছে । এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার সকালে উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারের গোডাউন মোড় এলাকায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। প্রায় দুই যুগ আগেও ব্রিজটির নিচ দিয়ে নালার পানি স্বাভাবিকভাবেই প্রবাহিত হতো। কিন্তু বিগত সরকারের  আমলে প্রভাবশালীরা ব্রিজের অর্ধেক জায়গায় বিল্ডিং গড়ে তোলায় ব্রিজের মুখ বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে অতি বৃষ্টি হলেই উপজেলার জামতৈলের এলাকার গোডাউন পাড়া, মিস্ত্রীপাড়া এবং দক্ষিণপাড়ার প্রায় দুইশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা এই জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে সেতুর যে অংশটুকু মাটি দিয়ে ঢেকে আছে সেটুকু খনন করে পানির নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগীর দাবি জানিয়েছেন অথবা নালা বরাবর সোজা করে নতুন সেতু নির্মাণ করারও আহ্বান জানান।

মিস্ত্রী পাড়ার বাসিন্দা বিজন সূত্রধর জানান, কালভার্টের পানি চলাচল না করায় আমার বাড়ির সামনে পানি জমেছে এতে আমাদের যাতায়াত অনেক কষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে সেতু মাঝ বরাবর বিল্ডিংয়ের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে এই বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ শুরু করি তখন নির্মাণে বাধা আসলে আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা-সহ সরকারি বেসরকারি সার্ভেয়ার এই সেতু সংলগ্ন আমার এই জায়গাটিতে সঠিকভাবে আমাকে জায়গা পরিমাপ করে দেন। তারপর আমি আমার বিল্ডিং এর কাজ সম্পন্ন করি। যদি নালা সোজা বরাবর সেতু নির্মাণ করা হতো। তাহলে গ্রামের ভিতরে এই জলাবদ্ধতা হতো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তে  লোক পাঠাচ্ছি। পরবর্তীতে জনভোগান্তি লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর...